মণিরামপুরের ১১নং-চালুয়াহাটি একটি ঐতিহ্যবাহি এবং গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মাঝি হতে চান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান-২) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি উপজেলা এই ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের পুত্র। অবহেলিত, অনুন্নত ও সুবিধা বঞ্চিত এ ইউনিয়নকে উন্নয়নের আলোয় আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্র্ণ এ জনপদে নৌকার মাঝি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌছুয়ে দিতে চান তিনি।
নির্বাচন কমিশন দেশব্যাপি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে চলতি বছরের শুরুর দিকে তফসীল ঘোষনা করেছিলেন। সূষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করার লক্ষে কয়েকটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপি’র তফসীল ঘোষনা করে। কিন্তু বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে নির্বাচন কমিশন অনেকটা পিছু হটে নির্বাচন আপাতত: স্থগিত ঘোষনা করেছে। কমিশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করলেও-নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্ধিতা করতে চান তাদেরন কার্যক্রম থেমে নেই। সম্ভব্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি বা প্রার্থীরা তাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন রকমের কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট্যতা অব্যহত রেখে চলেছেন। মণিরামপুরের চালুয়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিলন তাদের মধ্যে অন্যাতম।
আসন্ন এ ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা ১১নং-চালুয়াহাটি ইউনিয়নে প্রার্থীর সংখ্যা অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেকটা বেশিই। বিশেষ করে ক্ষমতাসিন রাজনৈতিক দলেরই প্রার্থী অর্ধ-ডজনেরও বেশি। এ তালিকায় পুরাতন আর নতুনদের সাথে হাইব্রীড ও সুবিধাবাদীদের সংখ্যাটাও নেহাতই কম নয়। যে কারণে নৌকা প্রতীক নিয়ে জটিলতা সৃষ্ট হতে পরে। সে সকল জটিলতাকে উপেক্ষা করে আসন্ন নির্বাচনে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের দাবীদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ ও জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন।
শহিদুল সদালাপি, মিষ্ট ভাষী এবং সবার পরিচিত মানুষ। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হলেও দলের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের সাথে রয়েছে হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা। এলাকার যে কোন মানুষ সমস্যায় পড়লে সাথে-সাথে সেখানে ছুটে যান তিনি। মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না-ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে। বিয়ে-সাদী, অভাবী, কাজহীন মানুষকে সহযোগিতা করা, যুব সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহণে সব সময় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। ইউনিয়নের সকল বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের পরিচিত এবং আপনজন শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী হয়েও রাজনীতি আর সমাজ উন্নয়নে এ ইউনিয়নের প্রতিটি পরতে-পরতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে ভয়াবহ মহামারী করোনাভাইরাস যখন এলাকার সাধারণ মানুষ দিশেহারা, করোনায় আক্রােেন্তর ভয়ে যখন মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়, তেমনি আছে মৃত্যুর ভয়ও। এই সময়ে সকল ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় সাধ্যমত সহযোগিতা ও সার্বিক খোজখবর রাখাসহ করোনা সৈনিকদের পাশে পাশে থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
তিনি বিশ্বাস করেন শুধু ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। তাই বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি। জনগণের ইচ্ছা ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে-দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন বাসির সর্বদা সেবায় নিয়োজিত থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়ে আলাপকালে অধিকাংশের মুখে শহিদুল ইসলাম মিলনের নামটি উঠে আসে। তাদের দাবী দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে তারা এবার শহিদুল ইসলাম মিলনকে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দেখতে চান। এ ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য তার বিকল্প নাই। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজসহ কৃষক-শ্রমিক, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ জনগণের বেশিরভাগ অংশই মিলনের পক্ষে অনেকটা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা মিলনকে এ ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায়। ইউনিয়নের অনেক বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগের কর্মীরা বলেন, মিলন মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হতে কোন সমস্যা হবে না।
গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকালে শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সংগঠন, দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠনসহ সকল কর্মকান্ডে জনগনের অংশগ্রহন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আমার লক্ষ্য। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জনগণের চাহিদা অনুয়ায়ী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে এবার আমি অংশ নিতে চাই। জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। নির্বাচিত হলে চালুয়াহাটি ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ যুব সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব। আর সে লক্ষ্য নিয়েই আমি সামনের দিকে অগ্রসর হবো-ইনসাল্লাহ।’